বাপ্পা বড়ুয়া,ওয়াশিংটন ডিসি থেকে::
নানাবিধ অবক্ষয় পেছনে ফেলে প্রবাসে স্বদেশের নিজস্ব ঐতিহ্য,কৃষ্টি,সংস্কৃতি লালন-পালন ও সংবেদনশীল মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার লক্ষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ইং’রোজ রবিবার ভার্জিনিয়া আর্লিংটনের ওয়ালটার রিড ড্রাইভে অনুষ্ঠিত হল ওয়াশিংটন ডিসির জনপ্রিয় সংগঠন প্রিয়বাংলার পথমেলা। শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রবাসী বাঙালীদের বিনোদন দিতে পঞ্চম বাবের মতো এই আয়োজন।
সারা দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ছিল নাচ-গান, দলীয় যন্ত্রসংগীত,বক্তৃতা, সংবর্ধনা, সম্মাননা,আবৃত্তিসহ নানা আয়োজন।প্রবাসী বাঙালী শিশু-কিশোররা যেমন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। তেমনি আমেরিকায় বসবাসরত বিভিন্ন দেশের শিল্পিরাও নাচ,গান গেয়ে মঞ্চ আলোকিত করে।
এবাবের পথমেলায় বিশেষ আকর্ষণ ছিল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন ও মুক্তা সারওয়ার।দুইজনেই মন মাতানো গান গেয়ে দর্শক শ্রোতাদের আনন্দে মুখরিত করে তুলে।আরো গান পরিবেশনা করেন পুলি কর্মকার সহ স্থানীয়ও শিল্পীবৃন্দ।এছাড়াও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জনপ্রিয় শিল্পী দম্পতি, বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক জগতের বলিষ্ঠ সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব- জনাব হাসান ইমাম এবং তার স্ত্রী লায়লা হাসানকে প্রিয়বাংলার পক্ষ থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
প্রিয়বাংলা পথমেলা আয়োজক দলের অন্যতম সদস্য জীবক বড়ুয়া বলেন:দূর প্রবাসে পহেলা বৈশাখ ,একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের মতো জাতিসত্তা বোধের সঙ্গে জড়িত বিশেষ দিনগুলোতে আয়োজন হয় নানা অনুষ্ঠানমালার। এসব অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রবাসী বাঙালীরা যেমন নিজেদের অস্তিত্ব খুঁজে পায়,তেমনি এই দেশের মানুষের কাছেও নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরার সুযোগ আসে। তার মতে-প্রবাসীরা সর্বদাই বিদেশ-বিভূঁয়ে একাকিত্বের যন্ত্রণায় দগ্ধ হয়। এসব অনুষ্ঠান একাকিত্বের অবসানই শুধু ঘটায় না। প্রবাসীদের মধ্যে ঐক্যের বন্ধন দৃঢ় করে। যে কারণে অনুষ্ঠানগুলোতে উপচেপড়া প্রবাসীর সমাগম হয়। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এসে অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
একদিকে চলছিল অনুষ্ঠান অন্যদিকে চলেছে মেলা।অনুষ্ঠান মঞ্চের দুইপাশজুড়ে পসরা সাজিয়ে বসানো হয় দেশীয় সংস্কৃতির নানা ধরনের পোশাক ও প্রসাধনী স্টল।বাংলার ঐতিহ্য শাড়ি, সালোয়ার কামিজ ও রেশমী চুড়ি, পাঞ্জাবীি, গয়না।এছাড়াও ছিল আবহমান বাংলার ঐতিহ্যময় মুখরোচক খাবারের বিভিন্ন স্টল।
পরিশেষে প্রিয়বাংলা পথমেলা আয়োজক দলের অন্যতম প্রধান প্রিয়লাল কর্মকার যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এবাবের আয়োজন সুন্দর ও সার্থক হয়েছে তাদের সবাইকে
আন্তরিক ধন্যবাদজ্ঞাপন করেন । ব্যবস্থাপনা কমিটির সকল সদস্য-সদস্যা হলেনঃ– শিবলী সিরাজ, জীবক বড়ুয়া, ফারহানা হানিফ, প্যাট্রিক গোমেজ, রুম্পা বড়ুয়া, আমিনুল ইসলাম রনিম, এ্যান্থনী পিউস গমেজ,আবু সরকার,খালেদ চৌধুরী,ডেমিয়ান ডিয়াস,নুপুর চৌধুরী, তৌফিক হাসান ও বাণিব্রত ঘোষ। নির্বাহী দলে ছিলেন মৌসুমি ফাতেমা সিরাজ, পুলি কর্মকার, পীযুষ বড়ুয়া, মিতালী গোমেজ, দিপ্তী বড়ুয়া,নাবিয়া হাসান বৃষ্টি,তুষার চৌধুরী রতন,দুলাল রায়, রকি বড়ুয়া,শাওন ইসলাম,রাহাত-ই-আফজা,নাফী তালুকদার,কলিংস গোমেজ,রফিকুল ইসলাম আকাশ,কাজল গোমেজ,রবি সহ আরও অনেকেই।
পাঠকের মতামত